Friday, November 7, 2014

ঘরেই তৈরি করুন রেস্তরাঁর স্বাদের পেরি পেরি রাইস

রেস্তরাঁয় পেরি পেরি রাইস নিশ্চয়ই খেয়েছেন? বলাই বাহুল্য যে নিশ্চয়ই অনেক ভালো লেগেছে। বেশ স্পাইসি এই পেরি পেরি রাইস ভালো না লাগার কোনই কারণ নেই। তাহলে আজ শিখে নিন দারুণ এই খাবারটির রেসিপি। হ্যাঁ, পেরি পেরি রাসি খেতে এখন আর রেস্তরাঁয় ছুটতে হবে না, এখন থেকে ঘরেই তৈরি করতে পারবেন খুব সহজে। আর চমৎকার রেসিপিটি দিয়েছেন আতিয়া হোসেন তনী। দারুণ মজার পেরি পেরি রাইস পরিবেশন করুন পেরি পেরি চিকেনের সাথে।

যেভাবে তৈরি করবেন পেরি পেরি সস-

২-৬ লাল মরিচ(স্বাদ অনুযায়ী)
১ টা বড় লাল ক্যাপসিকাম
১ টা লেবুর রস
১ টেবিল চামচ পাপরিকা পাউডার
২ চা চামচ লবন
১ টেবিল চামচ ওরিগানো
১/২ চা চামচ লাল মরিচ গুঁড়ো
১/২ কাপ ভেজিটেবল বা অলিভ ওয়েল
৫ কোয়া রসুন
৪ টেবিল চামচ ডার্ক ভিনেগার
১ চা চামচ কালো গোলমরিচ গুঁড়ো
১/৪ চা চামচ লাল বা কমলা ফুড কালার
  • -সব উপকরণ ভালোভাবে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। তবে কাজটা একদিন আগে করবেন, এতে ফ্লেভার ডেভেলপ করার সময় পাবে। ফ্রিজে রেখে দেবেন।

পেরি পেরি রাইস এর জন্য লাগবে-

১ কাপ রান্না করা ভাত
১ টা ছোট পেঁয়াজ ডাইস করা
১ সবুজ কাপ্সিকাম ডাইস করা
২ টেবিল চামচ পেরি পেরি সস
১ টেবিল চামুচ টমেটো কেচাপ
২ টেবিল চামুচ সয়া সস
খুব সামান্য রসুন বাটা
২ টেবিল চামচ মাখন
লবণ স্বাদ মতো

প্রণালী

  • -প্যানে বাটার গরম করে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে ভাজতে হবে।
  • -পেঁয়াজ সচ্ছ হয়ে এলে রসুন বাটা আর কাপ্সিকাম দিয়ে ১ মিনিটে ভেজে কেচাপ দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করতে হবে।
  • -এরপর রান্না করা ভাত দিয়ে ভালো মত মিশাতে হবে যাতে সস ভালো মতো লেগে যায়
  • -এরপর সয়া সস ভালো করে মিশিয়ে ১০ মিনিট অল্প আঁচে দমে রাখতে হবে। ব্যস, তৈরি আপনার পেরি পেরি রাইস।
- See more at: http://www.priyo.com/2014/11/06/117226.html#sthash.ox8cTpEj.dpuf

Wednesday, September 24, 2014

‘গোপন ছবি’ সুরক্ষার ১০ কৌশল

আইফোনে ছবি তুলছেন দুই তারকা। অনলাইনে ছবি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। ছবি রয়টার্সআইফোনে ছবি তুলছেন দুই তারকা। অনলাইনে ছবি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকেরা। ছবি রয়টার্সঅনলাইনে তারকাদের ব্যক্তিগত গোপনীয় ছবি ফাঁসের ঘটনা নিশ্চয়ই শুনেছেন। প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশ্লেষকেদের ধারণা, অ্যাপলের ক্লাউড সার্ভিসে রাখা তারকাদের গোপন ছবি ফাঁস করতে অ্যাপলের নিরাপত্তা দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়েছে সাইবার দুর্বৃত্তরা। তাঁদের ধারণা, অ্যাপলের ‘ফাইন্ড মাই ফোন’ ফিচারটির ত্রুটিকে কাজে লাগিয়েই তারকাদের আইক্লাউড অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নিয়েছে হ্যাকাররা। অবশ্য, অ্যাপল এক বিবৃতিতে সিস্টেম হ্যাকের বিষয়টি অস্বীকার করে করেছে। অ্যাপলের দাবি, তারকাদের ফিশিং মেইল পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করা হয়েছে। ঘটনা যাই হোক না কেনো কয়েকটি কৌশল মেনে চললে তারকারা সহজেই অ্যাকাউন্ট হ্যাকের বিষয়টি এড়াতে পারতেন। অনলাইনে তথ্য চুরির ঘটনা ঠেকাতে ৯ কৌশল মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা।
প্রথম কৌশল: ‘গোপন ছবি’ না তোলা
প্রথম কৌশলটি খুব সাধারণ। স্মার্টফোনের মতো ইন্টারনেট সুবিধার যন্ত্র দিয়ে ‘গোপন’ ছবি না তোলা। যদি ‘গোপন’ ছবি তোলার প্রয়োজন পড়ে এবং তা সংরক্ষণ করতে হয়, সেক্ষেত্রে ডিজিটাল বা পোলারয়েড ক্যামেরায় তুলে যথেষ্ট সাবধানে ইন্টারনেট সংযোগবিহীন কোনো ডিভাইসে সংরক্ষণ করা যেতে পারে।
দ্বিতীয় কৌশল: দ্রুত ডিলিট বাটন চাপুন
যদি ফোন ব্যবহার করে ‘গোপন’ ছবি তুলতেই হয় তবে কাজ শেষ হলে দ্রুত তা মুছে ফেলুন। যত বেশি সময় এ ধরনের ছবি ফোনে রাখবেন তত বেশি তা ফাঁস হওয়ার ঝুঁকি থাকবে। অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক মার্কিন বিশেষজ্ঞ স্টু সোয়ারম্যানের ভাষ্য, ‘দ্রুত ডিলিট বাটন চেপে দিন এবং দুশ্চিন্তামুক্ত হন। এটা খুব কঠিন কিছু নয়। ফোনের মধ্যে যদি স্পর্শকাতর জিনিস থাকে নেটে যাওয়ার আগেই তা রুখে দেওয়া উচিত।’
তৃতীয় কৌশল: পাসওয়ার্ডঅ্যাকাউন্ট সুরক্ষায় জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত
তৃতীয় কৌশলটি সম্ভবত সবারই জানা। এটি হচ্ছে মোবাইলে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখা। ফোন চুরি বা হারিয়ে গেলে গোপন ছবিগুলো অন্তত গোপন থাকবে বলেই আশা করা যায়। আপনার ফোনটি যদি অ্যান্ড্রয়েড ৪.৪ হয় তবে ফোনের পাসওয়ার্ড সেট করতে সেটিংস অ্যাপ্লিকেশনে যান এবং সিকিউরিটিতে চাপ দিন। সেখান থেকে স্ক্রিন লক বা আপনার পছন্দের পদ্ধতিটি বেছে নিন। সেখানে পাসওয়ার্ড, পিন, সোয়াপ, ফেসিয়াল রিকগনিশন বা অন্য কোনো অপশন থাকলে তা বেছে নিন। অ্যাপলের আইওএসের ক্ষেত্রে সেটিংস থেকে টাচ আইডি অ্যান্ড পাসকোডে যান এবং পাসকোড চালু করুন। এরপর জটিল কোনো পাসওয়ার্ড দিন।

চতুর্থ কৌশল: ক্লাউড নয়
সব ধরনের ছবি সংরক্ষণ করতে ক্লাউড ব্যবহার না করাই ভালো। অ্যান্ড্রয়েড ও অ্যাপলের হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার তথ্য ক্লাউড বা ডেস্কটপে ব্যাকআপ রাখতে পারে। স্পর্শকাতর তথ্য সুরক্ষায় তাই আপনাকে এ ধরনের স্বয়ংক্রিয় বিষয়গুলো সেটিংস থেকে ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করে দেওয়া লাগবে। আইক্লাউড বন্ধ করার ক্ষেত্রে অ্যাপলের অফিশিয়াল গাইডলাইন এক্ষেত্রে আপনার কাজে লাগবে। গুগল হেল্প থেকেও ক্লাউডে তথ্য রাখার নিরাপত্তা বিষয়ক পরামর্শ পেতে পারেন।

পঞ্চম কৌশল: লগ ইনে জটিল পাসওয়ার্ড
পঞ্চম কৌশলটিকে সবচেয়ে কার্যকর কিন্তু সবচেয়ে বিরক্তিকর কৌশল বলছেন প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরা। এই কৌশলটি হচ্ছে অ্যাকাউন্টের লগ-ইন পাসওয়ার্ড হিসেবে জটিল পাসওয়ার্ডের ব্যবহার। যে অ্যাকাউন্টে স্পর্শকাতর তথ্য থাকবে সেই অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে পাসওয়ার্ড যথেষ্টই জটিল করতে হবে। সহজে অনুমান করা যায় এমন পাসওয়ার্ড এড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ছয় বা সাত অক্ষরের বাক্যাংশ যা সহজেই মনে থাকে কিন্তু অনুমান করা কঠিন হয় তা পাসওয়ার্ড হিসেবে বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ স্টু সোয়ারম্যান। পাসওয়ার্ড জটিল হলে হ্যাকাররা তা সহজে ভাঙতে না পেরে অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার আশা ছেড়ে দেয় এবং সহজ পাসওয়ার্ডযুক্ত অ্যাকাউন্টগুলো হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। মেইল অ্যাড্রেস তৈরির সময় সহজে যাতে অ্যাকাউন্ট মালিক শনাক্ত করা বা ইউজারনেম শনাক্ত করা না যায় সে বিষয়টিও খেয়াল করতে হবে। লাস্ট পাস বা মাস্ক মির মতো ক্লাউড ভিত্তিক পাসওয়ার্ড ম্যানেজার এক্ষেত্রে কাজে লাগানো যায়।
ষষ্ঠ কৌশল: দ্বিস্তর শনাক্তকরণ
অনলাইনে আপনি যে যে সার্ভিস ব্যবহার করেন তাতে যদি দ্বিস্তর যুক্ত শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া ব্যবহারের সুযোগ থাকে তা কাজে লাগাবেন। ম্যাকাফির অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ রবার্ট সিসিলিয়ানোর পরামর্শ হচ্ছে এটা। তাঁর মতে, দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় ব্যবহারকারীকে তাঁর অ্যাকাউন্টে নিয়মিত পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পাশাপাশি লগ ইন করার সময় স্মার্টফোন ও ট্যাবে অ্যাপলের পাঠানো আরও একটি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হয়। এতে অতিরিক্ত একটি স্তরের নিরাপত্তা পাওয়া যায়। তাই যতক্ষণ হাতে মোবাইল থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত আর কেউ অ্যাকাউন্টে ঢুকতে পারছে না সেই বিষয়টি নিশ্চিত হয়। তবে এক্ষেত্রে কম্পিউটার বা অন্য যন্ত্রে পাসওয়ার্ড সংরক্ষণ না করাই ভালো। অ্যাপল, গুগল, ফেসবুক, ড্রপবক্সের মতো অনেক সার্ভিসের ক্ষেত্রে দুই স্তরের এই ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া রয়েছে। দু স্তরের নিরাপত্তা সেটিংসের বিষয়টি অনেক সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয় না। গুগল অ্যাকাউন্টে দ্বিস্তরের নিরাপত্তা যুক্ত করার জন্য গুগল এই লিংকে পরামর্শ দিয়েছে।
(https://www.google.com/landing/2step/) অ্যাপলের পরামর্শ পাবেন এই লিংকে (http://support.apple.com/kb/ht5570)
সপ্তম কৌশল: অবস্থা বুঝে স্পর্শকাতর তথ্য না রাখা
আপনার প্রিয় সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আপনাকে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দিতে অনাগ্রহী? তাহলে সেখানে স্পর্শকাতর তথ্য রাখবেন না। যে যন্ত্রে আপনার নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশি শক্তিশালী সেটাই বেছে নেবেন। ম্যাকাফির বিশ্লেষক সিসিলিয়ানোর ভাষ্য, ‘আমার ব্যাংক যদি আমাকে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা না দেয় তবে আমি আমার অর্থ বিছানার নীচে রাখাকেই বেশি নিরাপদ বোধ করব।’
অষ্টম কৌশল: সচেতনতা
আপনার গোপন ছবি যদি কারও সঙ্গে বিনিময় করতে চান সেক্ষেত্রেও আপনাকে সচেতন হতে হবে। এমন সার্ভিস বেছে নিতে হবে যে সার্ভিসগুলো আপনার পাঠানো ছবি সংরক্ষণ করে না। এক্ষেত্রে উইকার, সাইবারডাস্ট কিংবা স্ন্যাপচ্যাট ভালো সার্ভিস। এ সার্ভিসগুলো দাবি করে যে, তারা ফোনের ফটো গ্যালারির কোনো ছবি সংরক্ষণ করে না বরং নির্দিষ্ট সময় পর তা মুছে দেয়। তবে দাবি ঠিক কিনা তা নিশ্চিত হয়েই গোপন ছবি পাঠানোর চিন্তা করতে পারেন।
নবম কৌশল: ফিশিং এড়িয়ে চলুন
ফিশিংয়ের কবলে পড়বেন না। সাইবার দুর্বৃত্তরা আপনাকে প্রতারণার জালে আটকাতে না প্রলোভন বা ছদ্মবেশ ধরতে পারে। মানুষের দুর্বলতা হচ্ছে তাঁরা সহজেই হ্যাকারদের হাতে পাসওয়ার্ড তুলে দেন। ফিশিং হচ্ছে খুব সাধারণ সাইবার প্রতারণা। ফিশিং বলতে প্রতারণার মাধ্যমে কারও কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড, ক্রেডিট কার্ডের তথ্য ইত্যাদি সংগ্রহ করাকে বোঝানো হয়। দুর্বৃত্তরা এই পদ্ধতিতে কোনো সুপ্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট সেজে মানুষের কাছ থেকে তথ্য চুরি করে থাকে। ইমেইল ও ইন্সট্যান্ট মেসেজের মাধ্যমে সাধারণত ফিশিং করা হয়ে থাকে। দুর্বৃত্তরা তাদের শিকারকে কোনোভাবে ধোঁকা দিয়ে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এরপর ধোঁকা দিয়ে ব্যবহারকারীর ইমেইল, ব্যাংক বা ক্রেডিট কার্ডের আসল ওয়েবসাইটের চেহারা নকল করে থাকে। ব্যবহারকারীরা সেটাকে আসল সাইট ভেবে নিজের তথ্য প্রদান করলে সেই তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে দুর্বৃত্তরা।
বিশেষজ্ঞ সোয়ারম্যানের পরামর্শ হচ্ছে, ‘মেইলের ইনবক্সে আসা প্রতিটি মেইলের দিকে অন্তত দুই সেকেন্ড তাকান এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, এটা স্প্যাম নয়তো?’
সোয়ারম্যান বলেন, ‘যদি ইমেইলে এমন কোনো অ্যাটাচমেন্ট পান যা আপনি না চাইতেই চলে এসেছে বা আপনার কোনো প্রয়োজন নয় তবে তা ক্লিক করা থেকে বিরত থাকবেন। সূত্র নিশ্চিত না হয়ে অজানা কারও মেইলের অ্যাটাচমেন্টে ক্লিক করবেন না। আপনি পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করার অনুরোধ না করলেও যদি পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের জন্য অনুরোধ পান তবে তা করবেন না। এ ধরনের স্প্যাম মেইল ক্লিক করবেন না। কোনো মেইল স্প্যাম বলে সন্দেহ হলে তা স্প্যাম বলে নির্বাচিত করে দিন।
বাড়তি এক কৌশল: বুঝেশুনে ক্লিক
অনলাইনে তারকাদের নগ্ন ছবি ফাঁসের ঘটনায় বেশ কিছু স্ক্যাম ছড়িয়েছে। যদি কোনো মেইলে দাবি করা হয়, ‘এই লিংকে তারকাদের নগ্ন ছবি রয়েছে’ তবে তা ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন। অনলাইনে তারকাদের নগ্ন ছবি খোঁজার লিংকগুলো আপনাকে ম্যালওয়্যার ঝুঁকিতে ফেলে দেবে।

Tuesday, September 23, 2014

জেনে নিন কিছু অসাধারন তথ্য********

*কোকাকোলা প্রথমে ছিল সবুজ।
* সকল মহাদেশের নাম যে অক্ষর দিয়ে শুরু হয় সেই অক্ষর দিয়ে শেষ হয়।
* USA-র সব লোকের কমপক্ষে ২টি করে Credit Card আছে।
* মহিলারা পুরুষদের তুলনায় একদিনে প্রায় দ্বিগুণ চোখের পাতা ফেলে।
* কেঊ নিজের শ্বাস রোধ করে নিজেকে হত্যা করতে পারে না।
* যখন কেউ হাঁচি দেয় তখন অন্যরা তাকে বেঁচে থাকো বলে আশীর্বাদ করে। কারণ যখন কেউ হাঁচি দেয় তখন তার হার্...ট এক মিলি সেকেন্ডের জন্য থেমে যায়।
* এক বক্স তাসের ৪টি রাজা ইতিহাসের ৪জন বিখ্যাত রাজার প্রতীক। তারা হলেনঃ রাজা দাউদ, আলেকজান্ডার, জুলিয়াস সিজার এবং শার্লিম্যান।
* কুমির তার জিহ্বা বের করতে বা উঁচিয়ে ধরতে পারে না।
* শামুক একটানা তিন বছর ঘুমাতে পারে।
* প্রজাপতি তাদের পা দিয়ে স্বাদ গ্রহন করে।
* হাতি একমাত্র প্রানী যারা লাফাতে পারে না।
* গত ৪০০০ বছরে নতুন কোন প্রাণী গৃহপালিত করা হয়নি।
* এক ঘন্টার জন্য হেডফোন লাগালে কানে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ ৭০০ গুন বৃ্দ্ধি পায়।
* হাতের ছাপের মত সকলের জিহ্বার ছাপও ভিন্ন।

Friday, September 19, 2014

We are built imagination

This is a design & construction company . We estimate what amount of material & price of this material need to complete a structure . We also make plan about a project & design of a project . We have  experienced architectural engineer , civil engineer ,electrical engineer . If you are interested please contact our number .Please Visit http://amra20constructionltd.blogspot.com

Monday, June 2, 2014

মজার মজার সব তথ্য

(১) এডিসন (Thomas Edison) ছিলেন লাইট বাল্বের আবিস্কারক। তিনি অন্ধকার ভয় পেতেন।

(২) পেঙ্গুইন একমাত্র পাখি যে সাঁতার কাটতে পারে কিন্তু উড়তে পারেনা।

(৩) মশার দাঁত আছে।

(৪) দানব স্কুইডের (giant squid) চোখ সবচেয়ে বড়

আপনি জানেন কিঃ

কুরআনে আল্লাহ্ (الله) শব্দটি কতবার আছে?
- ২৫৮৪ বার ।
(সুবহানাল্লাহ
)

জেনে নিনঃ

(১) ডলফিন এক চোখ খোলা রেখে ঘুমায়।

(২) বিড়াল ১০০ এর বেশি ভিন্ন রকম শব্দ করতে পারে, যেখানে কুকুর পারে প্রায় ১০ রকম শব্দ করতে।

(৩) ৯ বছর বয়সে আইনস্টাইন অনরগল/সাবলীল ভাবে কথা বলতে পারতেন না, তখন তার বাবা মা তাকে প্রতিবন্ধী ভেবেছিলেন।



রসায়নের কিছু মজার তথ্য

রসায়ন মানেই অনেক মজা । চলুন দেখি আজকের মজাগুলো কি !!!

১.আপনি যদি এক গ্লাস পানিতে এক মুঠো লবন দেন তাহলে তো গ্লাসের পানি পরে যাবে ,তাই না ? দিয়ে দেখুন তো পরে কি না । কি অবাক হচ্চেন , পানির উচ্চতা আরও কমে গেল , তাই না ?

২.আপনার শরীরে যে পরিমান কার্বন আছে তা দিয়ে ৯০০০ পেন্সিল বানানো যাবে !!!

৩. সোনা অনেক দুর্লভ। দাম তো আকাশচুম্বী। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে যে পরিমান সোনা আছে তা দিয়ে সম্পূর্ণ পৃথিবী ঢেকে দিলে হাঁটু পরিমান উচ্চতা হবে।

৪. অক্সিজেন গ্যাস এর কোন বর্ণ নাই, কিন্তু তরল ও কঠিন অক্সিজেন নীল বর্ণের।

৫. হাইড্রফ্লুরিক এসিড এতবেশি ক্ষয়কারী যে গ্লাস গলিয়ে (dissolve ) ফেলে, কিন্তু তারপরেও এটাকে দুর্বল এসিড বলা হয় ।

৬. পৃথিবীর সবচে দুর্লভ মৌল এস্তেতিন, সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৮ গ্রাম এস্তেতিন আছে।

৭. বায়ুমণ্ডলের প্রায় ২০ % অক্সিজেন শুধুমাত্র আমাজন রেইন ফরেস্টের মাধ্যমেই উৎপন্ন হয় ।

৮. সাধারন তাপমাত্রায় ব্রোমিন ও পারদ এ দুটো মৌল ই তরল ।

৯. আমরা জানি পানির রাসায়নিক নাম (H2O ) এইচ টু ও , কিন্তু ইউপ্যাক (IUPAC) অনুযায়ী পানির রাসায়নিক নাম ডাইহাইড্রজেন মনোঅক্সাইড।

১০. মহাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় হাইড্রোজেন কিন্তু পৃথিবীতে সবচে বেশি পাওয়া যায় অক্সিজেন (প্রায় ৪৯ % বায়ুমণ্ডল+ ভুমি+সাগর)

১১. বজ্রপাতে প্রতিবছর অনেক লোক মারা যায়, কিন্তু আপনি কি জানেন বজ্রপাত না থাকলে পৃথিবীর প্রাণীকুল ধ্বংস হয়ে যেত।কারন বজ্রপাতের মাধ্যেমেই ওজোন তৈরি হয় ।


জেনে নিনঃ

আমাদের মস্তিষ্ক এর কতো ক্ষমতা? চলুন তাহলে আজকে সেটা জেনে নিই। আমরা সবাই জানি মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা অনেক বেশি কিন্তু পরিমান কত তা আমরা অনেকেই জানি না। আমাদের মস্তিষ্কটা তিন পাউন্ডের একটি জিনিস যার ক্ষমতা শুনলে মানুষ বিশ্বাসই করতে চাইবে না ,

ডক্টর ওয়াল্টারের মতে যদি মানুষের মস্তিষ্কের সমমানের একটি বৈদ্যুতিক ব্রেইন তৈরী করা যায় তাহলে তার খরচের টাকা গুনলে ১৫০০,০০০০০০০,০০০০০০০ (১৬ টি শূন্য) টাকা পরবে সেই পরিমান টাকা দিয়ে বর্তমান সময়ে প্রায় অত্যাধুনিক দশ কোটি কম্পিউটার কেনা সম্ভব আর এই যান্ত্রিক মস্তিষ্কের আয়তন হবে আটারটি এক’শ তলা বিল্ডিং এর সমান আর এটা চালাতে এক হাজার কোটি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন হবে তাহলে দেখুন তার কত ক্ষমতা।

এবার দেখুন তার ব্যবহার.আমরা আমাদের মস্তিষ্ককে ভালভাবে ব্যবহার করি না, বা বলতে গেলে করতে পারি না, বললে বিশ্বাস হবে কিনা জানি না মানুষে মস্তিষ্ক সেকেন্ডে ১০-১৫ টি শব্দ ধারণ করতে পারে বিজ্ঞানীরা বলে মানুষের মস্তিষ্কে ২২ লক্ষ সেল আছে সাধারণ মানুষ তার থেকে মাত্র ৩% সেল ব্যবহার করে বাকী গুলো বেকার হয়ে পড়ে থাকে আর বিজ্ঞানী বুদ্ধিজীবি শ্রেণীর মানুষ ব্যবহার করে ১০ থেকে ১১% !!


কান্নাকাটি করতে পেশি ব্যবহৃত হয় ৪৯টা...
হাসতে লাগে ১২টা আর...
থাবড়াইতে লাগে ৬টা...

সুতরাং কেউ আপনারে আঘাত দিলে......
কান্না কাটি না কইরা...

ঘুরাইয়া থাবড়া মারেন...
শক্তিবাচান..
.

১) সিগারেট ৪৮০০ প্রকার রাসায়নিক বস্তু বহন করে যার মধ্যে ৬৯ টি ক্যন্সার সৃষ্টি করে।

২) আপনার দিনে গড়ে ৪০ থেকে ১০০টি চুল ঝরে যায়।

৩) মস্তিস্ক অক্সিজেন ছাড়া ৪ থেকে ৬ মিনিট জীবিত থাকে। এরপর কোষগুলো মারা যেতে শুরু করে।
৪) ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘ্রাণ শক্তি বেশি।

৫) Icecream চাইনিজ খাবার।

৬) ভেনাস গ্রহ ঘড়ির কাটার দিকে ঘুড়ে বাকি সব গ্রহ ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে ঘুড়ে।


তোমার মাথায় কয়টা চুল আছে বলো তো? থাক, মাথা চুলকিয়ো না, কিছু চুল আবার পড়ে যেতে পারে।

তোমার মাথায় চুল আছে এক থেকে দেড় লক্ষ!


**আপনি কি জানেন ??**--হলুদ রং

কিছুদিন আগে পর্যন্ত তৈল হলুদ রং কি দিয়ে তৈরি হতো জানেন ??? গরুর মুত্র বা চ্যেনা দিয়ে ।

যারা ওয়েল পেইন্ট বা তৈল চিত্র আঁকেন তারা ভাবুন তো একটু । রোজ রোজ কাগজের ক্যানভাসে গরুর মুত্র দিয়ে কি সুন্দর ছবি আঁকতেন ।


1. মিয়ামিতে (ফ্লোরিডা) যেকোনো পশুর ডাক নকল করা আইনত দণ্ডনীয়!!

2. ভিক্টোরিয়াতে(অস্ট্রেলিয়া) লাইট বাল্ব বদলানোর জন্য অবশ্যই একজন সার্টিফিকেটধারী মেকানিক লাগবে!! আপনি নিজে এই কাজ করতে পারবেন না, যদি না আপনার ইলেক্ট্রনিক্সের উপর সার্টিফিকেট না থাকে!!


‎১) সদ্য জন্ম নেয়া শিশু কাঁদলে চোখে পানি দেখা যায়না। এর কারণ জন্মের পর শিশুর ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়স হলেই কেবল চোখের পানি সৃষ্টি হয়।

২) শিশুর জন্মের সময় চোখের আকার যেমন ছিল বড় হবার পর চোখের আকার ঠিক তেমনি থাকে। কিন্তু নাক আর কান সবসময় বৃদ্ধি পায়।একদম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাড়তে থাকে নাক আর কানের আকার ।


রাতে না ঘুমালে তো তোমাদের ভালোই লাগে না! অনেকে আবার রাতে একদমই ঘুমাও না। আর দিনের বেলা স্কুলে গিয়ে ঢুলতে থাকো। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানো? বিজ্ঞানীরা আঁক কষে বের করেছেন, আমরা আমাদের জীবনের তিন ভাগের এক ভাগ সময়ই কাটাই ঘুমিয়ে!

1)মানুষ 90%স্বপ্ন ভুলে যায় ।

2)একটি জলপাই গাছ প্রায় 1500 বছর বেঁচে থাকতে পারে।

3)তেলাপোকা মাথা ছাড়া প্রায় 9 দিন বাঁচতে পারে।
...

4)'Go' হল ইংরেজী ভাষার সবচেয়ে ছোট পূর্ণ সংখ্যা ।


1. ১৮১৭ সালে Baron von Drais প্রথম বাই সাইকেল তৈরি করেন যেটার কিনা চালানোর জন্য কোনও প্যাডেল ছিল না। মানুষ নিজে হেটে এটি চালাতও !
2. চা আবিষ্কার হয় চীনে, আজ থেকে প্রায় ৩ হাজার বছর আগে। ফুটন্ত পানিতে ভুলে কিছু চা পাতা পড়ে গিয়ে এই পানীয় তৈরি হয়ে যায়। নিউ ইয়র্কে ১৯০৯ সালে টমাস স্যুলিভান প্রথম টি-ব্যাগের প্রচলন করেন।
3.কম্পিউটারে সাথে ব্যাবহারের জন্য প্রথম মাউস আবিষ্কার করেন Douglas Englebart নামের ভদ্রলোক,১৯৬৪ সালে সেটি বানানো হয়েছিলো কাঠ দিয়ে!

(4) ব্রাজিলে এক প্রজাতির তেলাপোকা আছে যারা বিশেষ করে ছোট ঘুমন্ত বাচ্চাদের চোখের পাপড়ি খেয়ে ফেলে।

(5) কুমিরের ছানা পুরুষ না মেয়ে হবে সেটা ডিম ফোটার তাপমাত্রা(incubation temperature) এর উপর নিভর্র করে। ডিম ফোটার তাপমাত্রা ৩১º-৩২º সেঃ হলে পুরুষ ছানা হবে এবং এর থেকে কম হলে মেয়ে ছানা জন্ম নিবে।

(6) সাপের নাক এবং নাসিকা গহ্বর(nostrils and nasal cavities)থাকা সত্ত্বেও সাপ জিহ্¤বা দিয়ে গন্ধ নেয়।

(7) আমরা সবাই জানিযে মৌমাছি মধু তৈরি করে। কিন্তু জানেন কি প্রায় ২০০০০ হাজার প্রজাতির মৌমাছির মাঝে মাত্র ৪ প্রজাতির মৌমাছি মধু তৈরি করতে পারে। বাকিরা পারে না।


বড়োদের চেয়ে ছোটোদের শরীরে হাড় কিন্তু একটু বেশি-ই থাকে। বড়োদের শরীরে যে ২০৬টা হাড় থাকে, তা তোমরা সবাই জানো।
কিন্তু ছোটোবেলায় আমাদের শরীরে হাড় ক’টা থাকে জানো? ৩০০টা

পুর্ণ বয়স্ক একজন মানুষের দেহে
> যে পরিমাণ চর্বি আছে তা দিয়ে একটা সাবান এবং ৭৬টি মোমবাতি তৈরি করা যাবে।
> যে পরিমাণ ফসফরাস আছে তা দিয়ে কমপক্ষে ৮০০ দিয়াশলাই তৈরি করা যাবে।
> যে পরিমাণ কার্বন আছে তা দিয়ে ৯ হাজার পেন্সিল শীষ তৈরি করা যাবে।
> যে পরিমাণ আয়রন আছে তা দিয়ে বড় ধরনের চারটি পেরেক তৈরি করা যাবে।
> যে পরিমাণ বিদ্যুৎ আছে তা দিয়ে ২৫ পাওয়ারের একটি বাল্ব ৬ মিনিট জ্বলানো যাবে।


পৃথিবীতে কতই না প্রাণী। এতো বড় থেকে শুরু করে চোখে দেখা যায় না এমন প্রাণীও রয়েছে। 
তবে আমাদের পৃথিবীতে ৯৫% প্রাণীই একটা মুরগীর ডিমের চেয়েও ছোট।


(1) রোগ প্রতিরোধকারী শ্বেত রক্ত কণিকার সংখ্যা ২৫০ কোটি এবং এরা মাত্র ১২ ঘন্টা বাঁচে।

(2) দেহে অক্সিজেন সরবরাহকারী লোহিত রক্ত কণিকার পরিমাণ ২৫০০ কোটি এবং এরা ৪ মাস বাঁচে।

(2) একজন মানুষের রক্তের পরিমাণ তার মোট ওজনের ১৩ ভাগের এক ভাগ। অর্থাৎ ৬৫কেজি ওজন মানুষের রক্তের পরিমাণ হল ৫ কেজি।


( 1) অনান্য কীটপতঙ্গের মতো প্রজাপতিদেরও বহু রকমের প্রজাতি আছে । বিজ্ঞানীরা বলেন পৃথিবীতে প্রায় এক লাখ রকমের প্রজাপতি আছে ।

(2) একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৭০০০০ বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে সক্ষম।

(3) গড়ে একজন মানুষ তার জীবিত কালের মোট ১২বছর টিভি দেখে কাটায়!

(4) প্রতিদিন পৃথিবীতে গড়ে ২০ টা ব্যাংক ডাকাতি হয়।। গড় লোটপাটের পরিমাণ ২৫০০ ইউ, এস ডলার!!

(5) আমাদের টেবিলে যে টেবিলক্লথ দেয়া হয় সেটা আসলে ব্যাবহার করা শুরু হয়েছিলো যাতে মেহমানরা খাবারের পর তাদের হাত এবং মুখ মুছতে পারেন!!


মানুষের হাঁটা নিয়ে মজার কিছু তথ্য-

>একজন মানুষ যদি ঘন্টায় ৫ কিলোমিটার বেগে হাঁটে তাহলে এক বছরে বছরে তার অতিক্রান্ত দূরত্ব দাঁড়াবে ৪০,০০০ কিলোমিটার।
>একজন মানুষ তার স্বাভাবিক আয়ষ্কালে যে পরিমান হাঁটে তাতে সমগ্র পৃথিবীকে সাড়ে তিনবার ঘুরে আসা সম্ভব।
>বামহাতিরা হাঁটার ব্যাপারেও তাদের বামপাকেই আগে চালান।
>মানুষের শরীরের এক-চতুর্থাংশ অস্থি তার হাঁটার সময় ব্যবহৃত হয়ে থাকে
আর ২০০ টি পেশীর চলনে সম্পন্ন হয় আপনার একেকটি হাঁটা।
>৭ থেকে ১২ বয়সীদের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই তাদের জীবনে একবার না একবার ঘুমের মধ্যে হেঁটে থাকে।


ক্যানাডা একটি দেশের নাম সেটা কে না জানে। কিন্তু তোমাকে যদি জিজ্ঞেস করি বলো তো ক্যানাডা মানে কি? তাহলে তুমি নিশ্চয় আমাকে পাগল ভাববে তাইনা? মজার ব্যাপার কি জানো? ক্যানাডা একটি ভারতীয় শব্দ। এর মানে হলো বড় গ্রাম। তাহলে! কী দাঁড়াচ্ছে? ক্যানাডা একটি বড় গ্রাম, তাই তো!

* বুদ্ধিমান ব্যাক্তির বেশি তামা এবং দস্তা থাকে তাদের চুলে।

* পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মা-বাবা হচ্ছে ৮ এবং ৯ বৎসর বয়সের। তারা চীনে থাকত।


* মানুষের একটি চোখ জন্মের থেকে একই থাকে। আরেকটি শুধু বাড়ে। দুটো একসাথে বাড়ে না।


* আপনি ঘুমিয়ে থেকে বেশি কেলরি ক্ষয় করেন বসে বসে টিভি দেখার চেয়ে।


* না খেয়ে মরার চেয়ে না ঘুমিয়ে আপনি আগে আগে মরতে পারেন। আপনি ১০ দিন না ঘুমালে মারা যেতে পারেন।

* পেঁয়াজ কাটার সময় আপনি গাম যদি কামরাতে থাকেন, তাহলে আপনার চোখ থেকে জল আসবে না।

* মোনা লিসার ছবিতে কোনো আইব্রো নেই।

* যখন চাঁদ আপনার ঠিক উপরে, তখন আপনার ওজন একটু কম হবে।

* এলেক্সান্ডার গ্রাহাম বেল কখনই তার মা অথবা বউকে ফোন করেনি, কারন তারা দুইজন বিধির ছিলো।

* “I Am” ইংরেজীর সবচেয়ে ছোট বাক্য।

* স্প্যানিসে Colgate মানে হচ্ছে “নিজের গলায় দড়ি দাও”


(1) আপনার মস্তিস্কের ৮০ শতাংশই পানি।

(2) মানব দেহের ৯০ শতাংশই অক্সিজেন, কারবন, হাইড্রোজেন ও নাইট্রোজেন দিয়ে গঠিত।

(3) যদি এন্টার্টিকার বরফগুলো গলে যায় তাহলে সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ৬০ থেকে ৬৫ মিটার বৃদ্ধি পাবে।



Thursday, May 29, 2014

বাংলাদেশী আয়েশা উদ্ভাবন করলেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস


বাংলাদেশী বিজ্ঞানীদের বিজয় রথে আবার সাফল্য বয়ে নিয়ে এসেছে আয়েশা আরেফিন টুম্পা নামের একজন তরুণ নারী বিজ্ঞানী। ন্যানো-প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করেছেন কৃত্রিম মানব ফুসফুস।
২০১১ সালে আমেরিকার আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির গবেষক ক্রিস ডেটার বাংলাদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত এক কাজে এসে এরকমই এক সম্ভাবনাময় জিন বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিনের দেখা পান। ডেটার ও তাঁর সহকর্মী ল্যান্স গ্রিনের একান্ত সহযোগিতার ফলেই আয়েশা লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে উচ্চতর পড়াশোনা ও গবেষণার সুযোগ পান। টুম্পা বর্তমানে ইউনিভার্সিটি অব নিউ মেক্সিকোতে ন্যানো-সায়েন্সের উপর ডক্টরেট করছেন। একই সাথে লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরিতে চলছে তাঁর গবেষণা।
আয়েশা তাঁর ক্যারিয়ার শুরু করেন লস আলামস ন্যাশনাল ল্যাবেরটরির বায়ো-সিকিউরিটি বিভাগে। এরপরেই ঐ ল্যাবের ভারতীয় গবেষক প্রখ্যাত টক্সিকোলজিস্ট রাশি আইয়ার আয়েশাকে অপ্টোজেনিক্স সঙ্ক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য নিয়োগ দেন। প্টোজেনিকস হচ্ছে জিন-বিদ্যা ও প্রোটিন প্রকৌশল(ইঞ্জিনিয়ারিং) এর মাধ্যমে জীবন্ত টিস্যুর মাঝে ঘটতে থাকা বিভিন্ন স্নায়বিক কাজ (neuron activity) নিয়ন্ত্রণ করা। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ও কৃত্রিম টিস্যু বা কলা তৈরি করা সম্ভব।
আয়েশা ও রাশি আয়ারের দলের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা সৃষ্ট বিষক্রিয়া, রোগ ও কৃত্রিম অংগ সংস্থাপনের জন্য সম্পূর্ণ নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন করেছেন। তাঁরা একটি কৃত্রিম মানব ফুসফুস তৈরি করেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ছিল, Chronic Obstructive Pulmonary Disease এর সময় ফুসফুসের কোষগুলো কিভাবে কাজ করে তা জানা ও এর প্রতিষেধক উদ্ভাবন করা।। এটি হচ্ছে তৃতীয় সর্বোচ্চ ভয়াবহ রোগ যাতে আমেরিকার অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। আয়েশা একই সাথে বিভিন্ন স্নায়বিক ব্যাধি ও মস্তিষ্কে রক্ত-ক্ষরণ নিয়েও গবেষণা করছেন।
বাংলাদেশী বিজ্ঞানী আয়েশা আরেফিন টুম্পা ভবিষ্যতে দেশে ফিরে এসে মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী। দেশে থাকাকালীন সময়ে তিনি নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের জন্য কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি এইচ আই ভি/এইডস নিয়ে পারিবারিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করেছেন। তাঁর ইচ্ছা দেশে এসে নিজের বাড়িতে একটি স্কুল খোলার। যেখানে যে কোন শিশু বিজ্ঞান ও গণিত পড়ার সুযোগ পাবে।
আয়েশা আন্তরিকভাবেই বিশ্বাস করেন ভাগ্য ও আশেপাশের কিছু মানুষের সহযোগিতা ছাড়া তাঁর এই সাফল্য আসতো না। তিনি বলেন, “ আমি আমার গবেষণাগারের, এর মানুষগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞ। আমি আনন্দিত যে ব্যতিক্রম কিছু করার সুযোগ পেয়েছি। তিনি আরো বলেন লস আলামসে কর্মরত অন্য অনেক দেশের গবেষক বিশেষ করে মন্টেনিগ্রোর গবেষক Momo Vuyisich তাঁর জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন

ধানি জমি থেকে বছরে ৫০ মিলিয়ন কার্বন বিক্রির সম্ভাবনা



পৃথিবীর উষ্ণতা ধীরে ধীরে বেড়ে যাওয়ায় এ নিয়ে সারা দুনিয়ার মানুষ উদ্বিগ্ন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লবের পরপরই মূলত বিশ্বে বায়ুম-লের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এ সময়ের পর থেকে শিল্প উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লা, তেল বিপুল পরিমাণ কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গত করে পরিবেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এতে সূর্য থেকে যে পরিমাণ তাপ পৃথিবীতে পতিত হচ্ছে, ঠিক সে পরিমাণ তাপ প্রতিফলিত হয়ে মহাশূন্যে ফিরে যেতে পারছে না। এর ফলে তাপের একটা অংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড, মিথেন শোষণ করে এরা নিজেরা যেমন উত্তপ্ত হচ্ছে, তেমনি গোটা বায়ুম-লকেও উত্তপ্ত করে তুলছে। আমাদের বায়ুম-লের জলীয় বাষ্প প্রায় ৩৬ থেকে ৭০ শতাংশ, কার্বন ডাই-অক্সাইড ০৯ থেকে ২৬ শতাংশ, মিথেন ০৪ থেকে ০৯ শতাংশ, ওজোন ০৩ থেকে ০৭ শতাংশ পর্যন্ত গ্রিনহাউসের জন্য দায়ী বলা যেতে পারে। তবে এর মধ্যে কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নানা কারণে পরিবেশের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির জন্য দায়ী। কারণ মানুষ খুব দ্রুত বায়ুম-লে এ গ্যাসগুলোর পরিমাণ বৃদ্ধি করছে ও অদ্যাবধি করে চলেছে। এ কারণে বিশ্বে বায়ুম-লের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি গবেষণা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বর্তমানে যে পরিমাণ জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানো হয়, তা থেকে প্রতি বছর আনুমানিক ২১.৩ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। এর একটা অংশ সবুজ গাছপালা সালোক-সংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় তাদের খাদ্য প্রস্তুতির জন্য ব্যবহার করে নিজের ভেতরে কার্বন সংবন্ধন করে থাকে। তারপরও প্রতি বছর ১০.৬৫ বিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড বায়ুম-লে অতিরিক্ত হিসেবে জমা হচ্ছে।

বর্তমানে শিল্পায়নের যুগে যেখানে উন্নত দেশগুলো মাত্রারিক্ত কার্বন তথা কার্বনডাই-অক্সাইড ও মিথেনের মতো পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর গ্যাস নিঃসরণ করে পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি করছে, সেখানে বাংলাদেশ নিঃসরিত এসব কার্বন গ্রহণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিরূপ প্রতিক্রিয়া থেকে বিশ্বম-লকে রক্ষা করছে। কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নিঃসরণে ধান গাছের প্রভাব শীর্ষক প্রকল্পের ওপর দীর্ঘ ৯ বছর গবেষণা করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটন করতে সফল হয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের গবেষক অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল বাতেন। কার্বন ডাই-অক্সাইড নিয়ে এশিয়ার পবিবেশ সংস্থা এশিয়া ফ্লাস্কের নিবন্ধনকৃত তিনি প্রথম বাংলাদেশী গবেষক, যিনি পরিবেশ থেকে কার্বনডাই-অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নিঃসরণে ধান গাছের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য উদ্ঘাটনে সফলতা পেয়েছেন। তাকে এ গবেষণায় সাহায্য করছেন জাপানের দুইজন গবেষক ড. আকিরা মিয়াতা ও ড. মাসায়সি মানো।

জানা যায়, জাপান সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত 'কার্বন ডাই-অক্সাইড ও মিথেন গ্যাস নিঃসরণে ধান গাছের প্রভাব' প্রকল্প নিয়ে ২০০৬ সাল থেকে বিদেশি সব অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রায় ৯ বছর গবেষণা করে তিনি এ সাফল্য পান। এশিয়ার মধ্যে জাপান ও কোরিয়ার পর তার নেতৃত্বে তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে কাজ করে বিস্তর গবেষণা শেষে তিনি এমন সাফল্যও পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন ড. বাতেন।

ড. আবদুল বাতেন গবেষণা কর্মকা- সম্পর্কে বলেন, আমি ২০০৬ সালে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমেরিকা থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্র Li-cor ৭৫০০ ও Li-cor ৭৭০০ নিয়ে এসে বাকৃবি গবেষণা খামারে গবেষণা শুরু করি। বর্তমানে এগুলোর সাহায্যে সরাসরি জাপান থেকেও তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এ যন্ত্রের সাহায্যে প্রায় ৯ বছর ধানের ওপর বাতাসের কার্বনডাই-অক্সাইডর ঘন মাত্রা, জলীয় বাষ্প, তাপমাত্রা ইত্যাদি নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেছি। গবেষণার ফলে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আমাদের দেশের ৭০ শতাংশ আবাদি ধানি জমি বায়ুম-ল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন অথবা ১৮৪ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস পরিবেশ থেকে গ্রহণ করছে।

কার্বন ক্রেডিট বা কার্বনের বাণিজ্যিকীকরণ সম্পর্কে ড. বাতেন বলেন, যেখানে উন্নতর দেশগুলোর শিল্পায়নের কারণে বায়ুম-লে কার্বন ডাই-অক্সাইডর পরিমাণ প্রতি বছর প্রায় ২ পিপিএম বা তারও বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে যারা সর্বোচ্চ মাত্রায় কার্বডাই-অক্সাইড নির্গমন করে, তারা হলো চীন ২২.৩০ শতাংশ, আমেরিকা ১৯.৯ শতাংশ, ভারত ৫.৫০ শতাংশ, রাশিয়া ৫.২৪ শতাংশ, জাপান ৪.২৮ শতাংশ। তবে কিউটো প্রটোকল অনুযায়ী, বিশ্বকে উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষা করে বসবাসের উপযোগী করে তুলতে উন্নত দেশগুলো তাদের দেশ থেকে ৫ শতাংশ কার্বন কমানোর সমপরিমাণ কল-কারখানার কমিয়ে ফেলবে। তবে যদি তারা তা করতে না চায়, তবে তারা সবুজ পরিবেশের দেশ থেকে ওই পরিমাণ কার্বন কিনতে পারবে, যে পরিমাণ কার্বন ওই সবুজ দেশের পরিবেশ-প্রকৃতি থেকে গ্রহণ করে পরিবেশকে উষ্ণতার হাত থেকে রক্ষা করছে। এর জন্য এর আগে বছরগুলোতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে শিল্পোন্নত দেশগুলো স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে ক্ষতিপূরণস্বরূপ ২৮০ মিলিয়ন ডলার তহবিল দিতে সম্মতি জানায়। যদিও চুক্তিটি বাস্তবায়ন হবে ২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে, তার পরও এতে বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশগুলো আর্থিক সহায়তা পেলে বনায়নের দিকে কিছুটা ধাবিত হবে।

বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ। এদেশে ১১.৫৩ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে প্রতি বছর চাষ করা হয় আউশ, আমন, বোরো_ যা প্রতিনিয়ত বায়ুমন্ডেল থেকে গ্রহণ করে শুধু দেশেই নয়, গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বিশ্ব উষ্ণতা প্রতিরোধে। তাই আমাদের দেশের এ সবুজ পরিবেশ প্রতি বছরে যে ৫০ মিলিয়ন টন কার্বন গ্রহণ করছে, তা আমরা উন্নত বিশ্বের দেশের কাছে বিক্রি করতে পারি। তাই বাংলাদেশ ধানি জমির ৫০ মিলিয়ন টন পরিমাণ কার্বন উন্নতর দেশের কাছ থেকে কার্বন ক্রেডিট করতে পারে। তেমনি উন্নত দেশগুলো তাদের দেশ থেকে কল-কারখানা না কমিয়ে তাদের শিল্প উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ তার সুন্দরবন, মধুপুর, বান্দরবানের মতো বনভূমির দ্বারা গ্রহণকৃত কার্বন থেকে কার্বন ক্রেডিটের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারে বলে মনে করেন তিনি।